ঢাকা, ১১ অক্টোবর শনিবার, ২০২৫ || ২৫ আশ্বিন ১৪৩২
good-food
২৯৯

সাবেক যুবরাজসহ সৌদি রাজপরিবারের ৩ সদস্য আটক 

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১০:৩১ ৭ মার্চ ২০২০  

সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের ছোট ভাই প্রিন্স আহমেদ বিন আবদুল আজিজসহ রাজ পরিবারের ৩ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। 

মার্কিন গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে  বিবিসি জানিয়েছে, রাজ পরিবারের ৩ জনকে আটক করার কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে আটক করার পেছনে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের হাত রয়েছে বলে জানা গেছে।
আটক অন্য দুজন হলেন- সাবেক যুবরাজ মোহাম্মদ বিন নায়েফ ও সৌদি বাদশাহের ভাতিজা প্রিন্স নাওয়াফ বিন নায়েফ। তারা দুজনই সৌদি রাজ্যের অন্যতম দুই প্রভাবশালী ব্যক্তি। সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস ও ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, শুক্রবার সকালে রাজপরিবারের ৩ সদস্যকে আটক করা হয়। তাদের রাজদ্রোহিতার অভিযোগে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, কালো পোশাক পরিহিত এবং মুখ ঢাকা নিরাপত্তা বাহিনীর একটি দল আটকদের বাসস্থানে এসে তল্লাশি চালায়।
বর্তমানে সৌদি আরবের হর্তাকর্তা বলে মনে করা হয় যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে। ২০১৬ সালে সৌদি বাদশাহ তার ছেলে সালমানকে যুবরাজ ঘোষণা করেন। এরপর থেকে যুবরাজই কার্যত সব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে আসছেন।
আটক সাবেক যুবরাজ মোহাম্মদ বিন নায়েফকে ২০১৭ সালে যুবরাজ সালমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে অপসারণ করে গৃহবন্দি করে রাখেন।
এ ছাড়া ২০১৭ সালে বেশ কয়েকজন সৌদি রাজন্য, মন্ত্রী ও ব্যাবসায়ীকে যুবরাজ সালমানের নির্দেশে রাজধানী রিয়াদের রিটজ-কার্লটন হোটেলে আটকে রাখা হয়েছিল।

একটি সূত্র জানায়, শুক্রবারই আহমেদ বিন আবদুল আজিজ ও নায়েফকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু কেন তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তা নিয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের খবরে জানা গেছে, শুক্রবার সকালেই রাজপরিবারের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভ্যুত্থানচেষ্টা সংশ্লিষ্ট ঘটনায়ই তাদের ধরা হয়েছে।

যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ক্ষমতা সুসংহত করার ক্ষেত্রে শাসক রাজপরিবারের বেশ কয়েকটি বিখ্যাত শাখায় ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এছাড়া ২০১৮ সালের অক্টোবরে ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেটে বিখ্যাত সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দেশ পরিচালনায় যুবরাজের সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।

সূত্র জানায়, ক্ষমতার ধারায় পরিবর্তন আনতে চাচ্ছেন রাজপরিবারের সদস্যরা। বাদশাহ সালমানের একমাত্র জীবিত ভাই প্রিন্স আহমেদকেই সেক্ষেত্রে সম্ভাব্য পছন্দ হিসেবে দেখা হচ্ছে। রাজপরিবার, নিরাপত্তা সংস্থা ও কিছু পশ্চিমা শক্তির সমর্থনও রয়েছে তার ওপর।

কিন্তু ৮৪ বছর বয়সী বাদশাহ জীবিত থাকাবস্থায় কার্যত শাসক যুবরাজের বিরোধিতা অসম্ভব বলেই মনে করছেন পশ্চিমা কূটনীতিকরা। আর বাদশাহ নিজেও কখনো তার প্রিয়পুত্রের বিরুদ্ধে যাবেন না।

নিজের শাসনের অধিকাংশ দায়িত্ব ছেলের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন বাদশাহ। কেবল মন্ত্রিসভার বৈঠকের সভাপতিত্ব ও বিদেশি অতিথিদের অভ্যর্থনার দায়িত্বই তিনি পালন করছেন।

‘আর ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে এটা তার আরও বড় পদক্ষেপ। তাকে যাতে অতিক্রম করার চেষ্টা করা না হয়, রাজপরিবারের সদস্যদের তিনি সেই বার্তা দিতে চেয়েছেন নতুন এই ধরপাকড়ের মাধ্যমে,’ বললেন এই বিশ্লেষক।
 

বিশ্ব বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর